যে কঠিন শর্তে ৪৫ দিন যু'দ্ধ'বি'র'তি'র প্রস্তাব দিল ই'স'রা'য়ে'ল.
যে কঠিন শর্তে ৪৫ দিন যু'দ্ধ'বি'র'তি'র প্রস্তাব দিল ই'স'রা'য়ে'ল.
৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য শর্ত বেধে দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। খবর আল আরাবিয়ার।
হামাস বলছে, যদি তারা গাজায় আটক বাকি জিম্মিদের মধ্যে অর্ধেক মুক্তি দেয় তাহলে ৪৫ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে দখলদার ইসরায়েল। মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা এই প্রস্তাব পাস করিয়েছেন।হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘ইসরায়েল গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করারও দাবি করেছিল। কিন্তু এটি একটি "লাল রেখা" অতিক্রম করেছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল হামাস। এর মধ্যে এখনও ৫৮ জনকে আটকে রাখা হয়েছে গাজায়, যার মধ্যে ৩৪ জন মৃত বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামাস নেতারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছেন।প্রস্তাবে গাজা উপত্যকায় হামাস এবং সমস্ত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির শর্ত হিসাবে নিরস্ত্রীকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, বলেও ওই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামাস এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীর অবস্থান হলো প্রতিরোধের অস্ত্র যা একটি লাল রেখা এবং এই নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব অ-আলোচনাযোগ্য।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হামাসের আলোচকরা কাতারে গিয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছিল, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং গাজায় সাহায্য প্রবেশের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা হলে যে কোনো প্রস্তাবে সম্মত হতে ইচ্ছুক তারা। তবে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের বিবৃতিতে কোনো মন্তব্য করেনি।
হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দিতে ইচ্ছুক তারা। তবে ইসরায়েলকে যুদ্ধ শেষ করার গ্যারান্টি দিতে হবে। মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি জোর দিয়েছিলেন যে হামাস অস্ত্র ছাড়বে না।এর আগে, জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল গাজার মানবিক সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে কোনও সাহায্য এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে না। একইসঙ্গে অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, “বিদ্বেষ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মানবিক পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে খারাপ।’ এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গাজায় জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
এনএ
Comments
Post a Comment